বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
এর আগে ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারকের মধ্যে ছয়জনই পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার রাতে আইন মন্ত্রণালয়ে তারা পদত্যাগপত্র পাঠান।
পদত্যাগকারী ৫ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
পদত্যাগপত্রে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উল্লেখ করেন, সুপ্রিমকোর্ট বিল্ডিং ও রেকর্ডসমূহ রক্ষা করা এবং বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সাবেক দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খ্যাতনামা আইনবিদ প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের পুত্র।
২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এর পর থেকেই একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা।