নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলা২৪.নেটসিলেট গ্যাসক্ষেত্রে হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের পাশাপাশি এবার মিলল তেলের সন্ধান। এছাড়া ওই কূপে ৪টি স্তরে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সিলেট-১০ গ্যাসকূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন শেষে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ মিলেছে। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
কূপের ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি গ্যাস স্তর এবং ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোনে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি মিলেছে।
প্রাথমিকভাবে এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষ হলে তেলের মজুত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর গ্যাস পাওয়া যাবে। গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।