ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে পাওয়ার ফুটবল খেলতে থাকা বাংলাদেশের কাছে পুরোপুরি বিধ্বস্ত সিঙ্গাপুর নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশের থেকে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের জালে প্রথমার্ধে তিন গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই আক্রমণ ঝাঁঝ আরো বাড়লো। যা ফলাফল সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে বিশাল জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। এর ফলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা দুই প্রীতি ম্যাচেই জয় পেল সানজিদা-ঋতূপর্ণারা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলা দেখাতে থাকে বাংলাদেশ দল। একের পর এক আক্রমণ সামাল দিতে দিশেহারা হয়ে যায় সিঙ্গাপুরের ডিফেন্স লাইন। তবে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও প্রথম ১৩ মিনিটের মধ্যেই তিনটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তহুরা ও সাবিনা।
১৪তম মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় সিঙ্গাপুর, তবে সফল হতে পারেনি তারা। ১৭তম মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন বাংলাদেশের তহুরা খাতুন। প্রথম গোলের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ১৮তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের জালে বল জড়ান ঋতুপর্ণা চাকমা।
দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও আক্রমণের ধার মজবুত রাখে তহুরা-সাবিনারা। ২৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি আদায় করেন তহুরা খাতুন। এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়ায় বাংলাদেশি মেয়েরা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৪-০ গোলের লিড এনে দেন ঋতুপর্না। এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সানজিদা। এর ৮ মিনিট পর গোল করেন অধিনায়ক সাবিনা।
হাফ ডজন গোল হজম করার পর ৭৮তম মিনিটে গোলকিপার পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর। যদিও ভালো একটি সেভ করেন নতুন এই কিপার, তা না হলে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা আরও একটি গোলের দেখা পেতে পারতেন।
৮২তম মিনিটে বাংলাদেশের গোলকিপার রুপ্নার পরিবর্তে মাঠে নামেন স্বর্ণারানী মন্ডল। ৮৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ভলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি প্রবাসী খেলোয়াড়ার সুমাইয়া জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন।
যোগ করা সময়ে (৯১তম মিনিটে) ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন শামসুন্নাহার। এতেই র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের দুই হালি গোল।