সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হাসান হত্যার ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহতের বাবা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ মামলা করেন।
সিলেট নগরীর টিবিগেইটে ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের গত সোমবার রাতে তাকে কোপালে রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরিফ হাসান সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে ও সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগরীর শাহীঈদগাহ টিবিগেইট ও বালুচর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে টিবিগেইট এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্যাডাররা আরিফের উপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায় আরিফকে। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আইসিইউতে ভর্তির পর রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের বাম হাত, উরু ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ২৩টি আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে নতুন ২০টি ও ২/৩ দিনের পুরনো ৩টি আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সহকারী অধ্যাপক শামসুল ইসলাম।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাচ্চু মিয়ার ছেলে রণি ও কামাল আহমদের ছেলে মামুন মজুমদারকে আটক করে পুলিশ।