যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ( ২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরেফীকে আদালতে হাজির দেখানো হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মীর। শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন আদালত। এর আগে গত সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরবর্তীতে রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও এক সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।