Bangla24.Net

মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানদের গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানদের ১৫৬ রানে আটকে দেয় টাইগার বাহিনী।

শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ১৫৬ রানে জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে সাকিব আল হাসানের দল। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ততে জয়ের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এদিন ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে তানজিদ হাসান তামিম দেখালেন দৃঢ়তা। ফজল হক ফারুকিকে বাউন্ডারি মেরে বিশ্বকাপ অভিষেকে রানের খাতা খুলেন এই তরুণ। তবে বেশিক্ষন টিকতে পারেন নি। ফজলহক ফারুকির করা ৫ম ওভারের প্রথম বল কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। কল করেননি। তাও তবে অন্য প্রান্ত থেকে তানজিদ ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছেন। কালক্ষেপণ না করে নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রো। ব্যস, রান আউট হন তানজিদ।

এরপরই ফজল হক ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বল খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়ে যান লিটন। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দলীয় অর্ধধতক পার করে বাংলাদেশ।

তবে নাভিন উল হককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে রহমত শাহের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। আর তাতেই শেষ হয় মিরাজের ৭৩ বলে গড়া ৫৭ রানের ইনিংস। ভাঙে শান্তর সঙ্গে গড়া ১২৯ বল স্থায়ী ৯৭ রানের জুটি।

এরপরই নামেন অধিনায়ক সাকিব। তবে ১৯ বলে ১৪ রান করে থেমে যায় তার ইনিংস। পুল করতে গিয়ে সরাসরি ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন সাকিব। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। টাইগার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম।

তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। দলীয় ৪৭ রানে ২৫ বলে ২২ রান করে সাকিবের বলে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইব্রাহিম।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুরবাজ। তবে দলীয় ৮৩ রানে আবারও উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ফের উইকেটের দেখা পান সাকিব। ২৫ বলে ১৮ রান করা রহমতকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

রহমতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলীয় ১১২ রানে জোড়া উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

৩৮ বলে ১৮ রান করা শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। আর এরপরেই গুরবাজকে আউট করে বাংলাদেশকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন পেসার মুস্তাফিজ। ৬২ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ৫ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব। আর মোহাম্মদ নবির স্ট্যাম্প হাওয়ায় ভাসিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন রশিদ খান। তবে দলীয় ১৫৬ রানে রশিদকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপরই ওমরজাইকে আউট করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

শেয়ার