Bangla24.Net

বৃহস্পতিবার, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কংগ্রেসম্যানদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সমঝোতার বিষয় নেই, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে

বাংলাদেশ চীনের ‘খপ্পরে’ পড়েছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে সরাসরি সরকারকে জিজ্ঞাসাও করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রোববার (১৩ আগস্ট) বৈঠকে কংগ্রেসম্যান এড কেস এবং রিচার্ড ম্যাককরম্যাক চীনের বিষয়টি জানতে চান।

বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন নিয়ে বলেছে যে তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছো। আমরা বলেছি না। আমরা চীনের ভেতরে যাচ্ছি না। আমাদের ঋণের এক শতাংশের মতো চীন থেকে নেয়া। এটি কোনও বড় বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে (কংগ্রেসম্যান) বিভিন্ন লোকজন বলছে বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর জায়গা। এরা চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে। চীনের গোলাম হয়ে গেছে। এটি একটি ভয়ংকর জায়গা, যেখানে অশান্তি এবং পুলিশ যখন-তখন লোক ধরে ফেলছে ও মেরে ফেলছে।’

দুই কংগ্রেসম্যান শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন এবং সোমবার তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। ‘সমঝোতার পথ আছে কিনা’ জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে কংগ্রেসম্যানরা কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের ‘ফর্মুলা’ দিচ্ছে না এবং তারা ‘সমঝোতার পথ আছে কিনা’ জানতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে তোমাদের সমঝোতার পথ আছে কিনা। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি– সরকারের পতন হবে, তারপরে নির্বাচন করবে, সেটির সঙ্গে আমাদের সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই।’

তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, ‘তোমাদের দেশে কি নির্বাচনের সময়ে সরকারের পতন হবে? নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দাবি করলে কি তোমরা আলোচনা করবে? নিশ্চয়ই না।… আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করবো এবং সেটিতে সবাই অংশগ্রহণ করুক এটি আমরা চাই। কে জিতবে না জিতবে সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে।’

সংলাপের বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ঐকমত্য করার মতো কোনও দাবি-দাওয়া কারও কাছে নেই। আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমাদের বিরোধী দল নির্বাচনের কোনও খবরই রাখে না।… তারা চায় সরকার পতন। এটা সংলাপের জন্য কোনও বিষয়বস্তু হতে পারে না।’

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের ও মতের আন্তরিকতা দরকার এবং এ বিষয়ে তারা একমত বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সব দল যদি নির্বাচনে যোগদান করে এবং তারা যদি আন্তরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারাও অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়, তবেই সহিংসতামুক্ত হবে।… সরকার বা নির্বাচন কমিশন চাইলে সহিংসতামুক্ত হবে, বিষয়টি সেরকম নয়। এটির নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না, বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সহিংসতামুক্ত করতে হলে সবার আন্তরিকতা দরকার। আমরা বলেছি আমাদের দেশে অংশগ্রহণ তোমাদের দেশের থেকে কয়েকগুণ বেশি। তোমাদের ওখানে লোক ভোট দেয় না, কিন্তু আমাদের এখানে অধিকাংশ লোক ভোট দেয়।’

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ– মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও অধিকতর যোগাযোগ। তাতে উভয় দেশের সঙ্গে জানাশোনা হয় এবং মিথ্যা প্রচারণা সেগুলো কমে।’ রোহিঙ্গা নেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী নয় বলেও তিনি জানান।

শেয়ার