Bangla24.Net

‘এবারের লড়াই জীবন-মরণ লড়াই’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবারের লড়াই জীবন-মরণ লড়াই। কোনও ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এবারের লড়াই জীবনপণ লড়াই। কোনোভাবেই আমাদের আটকানো যাবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করে পার পেতে চায় আওয়ামী লীগ। দেশের জনগণ কি সেটা হতে দেবে?’ এসময় নেতাকর্মীরা একযোগে বলেন, ‘না’।

শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। মানে মানে কেটে পড়ুন, পদত্যাগ করুন। না হলে আমাদের নেতাও বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে। এবারের লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লড়াই।’

বিএনপি মহাসচিব সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা নতুন যুদ্ধ, নতুন লড়াই শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, তোমাদের দিন শেষ। মানে মানে পদত্যাগ করো।’

তিনি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘সংসদ ভেঙে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে।’

নির্বাচন কমিশনে নতুন দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার চূড়ান্ত হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ‘এই দুই দলকে কেউ চেনে না। এদের দিয়ে সরকার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। এবার এ খেলা খেলতে দেয়া হবে না।’

গণমিছিলের আগে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম), শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

এদিকে, একযোগে প্রায় একই সময়ে গণমিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিও। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে এই কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। এই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে গণমিছিলে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, মনিরুল হক চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মো. হারুন অর রশিদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল খালেক, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল ও হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।

শেয়ার