Bangla24.Net

মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ আগস্টের আগে বড় কর্মসূচি দেবে না বিএনপি

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আগে বড় কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। কেন প্রত্যাশামাফিক সব হয়নি-তার কারণ খোঁজা হচ্ছে।

আগামী কর্মসূচিতে ছাত্র-তরুণদের ব্যাপকহারে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বুধবার বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।

বৈঠক শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির মূল্যায়ন করা হয়েছে। সেখানে কিছু সমন্বয়হীনতা থাকলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের রিহার্সাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আপাতত নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। যুগপৎভাবে আরও কিছুদিন পর নতুন কর্মসূচি আসবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন সময়ের আলোকে বলেন, ১৫ আগস্টের আগে যুগপৎ কর্মসূচি থাকছে না। নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। বৈঠকে চূড়ান্ত আন্দোলনের রোডম্যাপ তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার অবস্থান কর্মসূচি কেন প্রত্যাশামাফিক হয়নি তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হয়েছে। বড় সমাবেশের পরদিন জোরালো কর্মসূচি দেয়ার ছন্দপতন হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সবাই।

তিনি বলেন, পরবর্তী কর্মসূচিতে কীভাবে ছাত্র ও তরুণদের ব্যাপকভাবে মাঠে নামানো যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। তাদের চাঙ্গা করতে আলাদাভাবে সমাবেশ করার কথাও বলা হয়েছে।

সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। সমমনা জোটের নেতা ও ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সময়ের আলোকে বলেন, সময় নিয়ে বড় কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল কর্মসূচি আজ বিকালে ঘোষণা দিলে ভালো রেজাল্ট আসবে না। ছোট দল ও জোটের পক্ষে স্বল্প সময়ের নোটিসে কর্মসূচি পালন সম্ভব হয় না।

এসব বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর না থাকলেও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

পরে বরকত উল্লাহ বুলু সময়ের আলোকে বলেন, মূলত গেল কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। ১৫ আগস্টের আগে আপাতত কর্মসূচি নয়। আমরা নতুন করে ভাবছি। সবার সঙ্গে কথা বলছি। তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের দণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি থাকবে।

গত ১২ জুলাই বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ১৮ ও ১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। এরপর রাজধানীতে সমাবেশ করে রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ১৫টির মতো মামলা হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আগামীকাল ঢাকায় হবে প্রতিবাদ সমাবেশ। এ ছাড়া ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ৫ আগস্ট ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ আগস্ট সমাবেশ ও মিছিল এবং ৯ আগস্ট মতবিনিময় সভার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জোট।

সৌজন্যে : সময়ের আলো

 

শেয়ার