আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়েও লাভ হলো না ব্রাজিলের মেয়েদের। খর্বশক্তির দল জ্যামাইকার সঙ্গে ড্র করে চলমান নারী ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে সেলেসাওদের। ঘন্টাখানেক আগে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করেছিল সুইডেন। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো করেই বাড়ির পথ ধরল ব্রাজিলের মেয়েরা।
বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ (বুধবার) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ম্যাচটিতে জিততেই হতো ব্রাজিলকে। অন্যদিকে হার এড়ালেই পরের পর্ব নিশ্চিত জ্যামাইকার জন্য। এমন সমীকরণের মুখে ব্রাজিল ফিরিয়ে আনে তাদের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মার্তাকে। নারী এবং পুরুষ মিলিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল যার দখলে। কিন্তু এদিন জ্যামাইকার জমাট রক্ষণের সামনে অসহায় ছিলেন এই ফরোয়ার্ডও।
মেলবোর্ন রেক্টেঙ্গুলার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা বোর্জেস এদিন ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ। প্রথমার্ধে তাই ব্রাজিলেরও খুব বেশি কিছু করা হয়নি।
গোলমুখে মার্তা কয়েকবার হুমকি ছড়ালেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে থাকলেও তাই সময়টা উপভোগ করতে পারেননি ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই নারী ফুটবলার।
বিপরীতে জ্যামাইকা পুরো ম্যাচই পার করেছে রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে। চার ডিফেন্ডার এবং এক হোল্ডিং মিডফিল্ডার নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন কোচ পিয়া স্নডহেগ। তার সেই কৌশল কাজেও লেগেছে। ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে গড়া জ্যামাইকার সামনে পথ খুঁজে পায়নি ব্রাজিল।
ম্যাচে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় সুযোগ এসেছিল ৭৯ মিনিটে। মিডফিল্ডার লুয়ানার ক্রসে হেড করেছিলেন জ্যামাইকান ডিফেন্ডার অ্যালিসন সোয়াবি। আত্মঘাতী গোলটা পেয়েই যেতে পারত ব্রাজিল। শেষ সময়ে ত্রাতা বনে যান জ্যামাইকার গোলরক্ষক রেবেকা স্পেনসার।
পুরো ম্যাচেই গোলবারের নিচে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে ছিলেন জ্যামাইকার গোলরক্ষক। ৭টি সেইভ করে ব্রাজিলকে আটকে রাখার কৃতিত্ব ছিল তারই। শেষপর্যন্ত গোলশূন্য ড্র-তেই শেষ হয়েছে দুই দলের লড়াই। আর তাতেই নিশ্চিত হলো ব্রাজিলের ঘরে ফেরা।
গ্রুপপর্বের ম্যাচ শেষে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে নকআউট পর্বে যাচ্ছে জ্যামাইকা। গ্রুপসেরা ফ্রান্স ৩ ম্যাচে পেয়েছে ৭ পয়েন্ট।