Bangla24.Net

বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিভাগে আক্রান্ত তিন শতাধিক

সিলেটের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু

সিলেটে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এবার শহরের পর এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামাঞ্চলে।  গেল জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সিলেটে মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসা-বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফদর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ভাস্কর ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটের গোয়াইনঘাটে কয়েকদিন আগে ডেঙ্গুরোগী হট স্পট হিসেবে চিহিৃত করা হলেও বর্তমানে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলাকে চিহিৃত করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটে গাড়ির টায়ারে পানি জমে থাকার কারনে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যায়। এতে ঐ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি সনাক্ত হয়। বর্তমানে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেশকিছু গার্মেন্স শ্রমিক অসুস্থ হয়ে ঢাকা থেকে চলে আসেন নিজ এলাকায়। অসুস্থ প্রায় সকলই ডেঙ্গুরোগী। তথ্য বিশ্লেষন করা দেখা গেছে এখন সিলেট অঞ্চলের অনেক গ্রামেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের অধিকাংশ রাজধানী ফেরত।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সুত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৩১৩ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ২৩৫ জন ইতোমধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে সিলেটে ১০ জন, সুনামগঞ্জে ৫ জন, হবিগঞ্জে ৪৪ জন ও মৌলভীবাজারে ২ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

চলতি মওসুমের আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটে শনাক্ত হওয়া ৩১৩ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ১৮৩ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ১৯ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৯৬ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৫ জন রয়েছেন।

এদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পাশাপাশি চলছে অভিযান। যেখানেই এডিস মশার লার্ভা মিলছে সেখানেই চলছে জরিমানা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ৭, ১০ ও ২৬ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল ও কদমতলী এলাকায় বেশি পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, গত জুন মাসে ১০টি স্থান থেকে ‘নমুনা’ সংগ্রহ করা হলে ২-৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন ১০টি স্থানের নমুনা পরীক্ষা করলে ৫-৬ জায়গায় এডিসের লার্ভা সনাক্ত হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটছে। তাই মানুষকে সচেতন করা না গেলে ডেঙ্গুর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের’ শঙ্কা রয়েছে।

শেয়ার