Bangla24.Net

মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ পাচার মামলা

জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড

অর্থ পাচার মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোমবার (১৭ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দেহরক্ষীরা হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। এদিন রায় ঘোষণা থাকায় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ে বিচারক তাদের প্রত্যেককে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণ বিচারক উল্লেখ করেন, ‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’

এর আগে গত ২৫ জুন আসামিপক্ষ মামলার রায় ঘোষণা ও অধিকতর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‍্যাব। সেখান থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

একই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন দেন। মামলায় অভিযোগপত্রভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

শেয়ার