Bangla24.Net

বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ শহরের ৫ খাল উদ্ধার অভিযান শুরু

জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনামগঞ্জে শহরের দখল হওয়া ৫টি খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে কামারখাে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। খালগুলো হচ্ছে, কামার খাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, নলুয়াখালী খাল ও বলাই খাল।

এসময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন সিংহসহ ম্যাজিট্রেস্টগণ উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে খালগুলো উদ্ধার সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এরপরও খালগুলো দখলমুক্ত করতে কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পরে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার দায়ের করা রিটের শুনানিতে খাল উদ্ধারের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। শহর থেকে পানি নামার গুরুত্বপূর্ণ সাতখালের পাঁচটিরই কোনো অস্তিত্ব নেই। অবৈধ দখলদার কবলে ছিল এসব খাল। খালের উপর ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এক সময়ের বড় বড় খাল ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীরা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন।

জেলা শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খামারখাল ৮৪ জন প্রভাবশালীর দখলের বিষয়টি চিহ্নিত হলেও খাল উদ্ধারে অগ্রগতি ছিলনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সুনামগঞ্জ শহরের বেশ কিছু এলাকা বন্যার মতো জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রায় দুই লাখ মানুষকে এমন বিপজ্জনক অবস্থা থেকে বাঁচাতে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) উচ্চ আদালতে মামলা করে। আদালত সম্প্রতি সুনামগঞ্জ পৌর শহর ও আশপাশের এলাকার পাঁচটি খালের দখলদারদের পূর্ণ তালিকা করে তাদের উচ্ছেদের আদেশ দেন। একই সঙ্গে খালগুলোর সীমানা নির্ধারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশ বাস্তবায়নে শনিবার থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় শহরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এই খালগুলো উদ্ধার জরুরি ছিল। এটি সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আজ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হলো। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে ৫টি খাল বয়ে গেছে। এগুলো দখল হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে উদ্ধার শুরু হয়েছে। আজ কামারখাল উদ্ধার অভিযান চলছে। পর্যায়ক্রমে বাকি চারটি খাল উদ্ধার করা হবে।

শেয়ার