হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পল্লীতে জামাতা সেলিম মিয়ার (৩০) ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে শ্বশুর নূর আলমের (৪৯)। এ ঘটনায় সোমবার (১০ জুলাই) সকালে ঘাতক জামাতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নূর আলম ওই উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুনারুঘাট ও মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, নূর আলমের শরীরে তার জামাতা ছুরি দিয়ে ৮টি আঘাত করেছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোববার রাত থেকে চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, শাহজীবাজার ও মাধবপুরের চা বাগানসহ বিভিন্নস্থানে ব্লকরেইড দেয়া হয়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঘাতক জামাতা সেলিম মিয়াকে শাহজীবাজার রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চারবছর আগে নূর আলমের মেয়ে লাইজু বেগমকে বিয়ে দেন সেলিম মিয়ার সাথে। বিয়ের পর থেকেই সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে সেলিমের প্রায়ই কলহ হতো। এর জেরে গেল ২ জুলাই সেলিমের স্ত্রী লাইজুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে সেলিম তার স্ত্রীকে মারপিট করে। পরবর্তীতে স্ত্রী লাইজু চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই ঘটনায় শ্বশুর নূর আলম জামাতার পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করেন। খবর পেয়ে রোববার সেলিম রাতে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জামাতা সেলিম ধারালো ছুরি নিয়ে শ্বশুরকে উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।