Bangla24.Net

সিলেটে এবার পর্যটকদের বাধা বৃষ্টি

ফাইল ছবি

ঈদুল আজহার ছুটিতে বৃষ্টির দাপটে অনেকে এবার সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোয় ভ্রমণ বাতিল করেছেন। টানা বৃষ্টিতে হোটেলবন্দি সময় কেটেছে তাদের। মূষলধারে বর্ষণের কারণে খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারেননি। তবে সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভরসা ছিল চা বাগান।

পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হোটেল-মোটেলেও বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবসা হয়নি আশানুরূপ। গত বছরের বন্যা ও এর আগের ২ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে ব্যবসা না হওয়ার হতাশা এবারও পেয়ে বসেছে পর্যটনসংশ্লিষ্টদের।

চা বাগান, স্বচ্ছ নদীর জলধারা, পাথর আর পাহাড়ের আকর্ষণে সিলেটে প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়। একই সঙ্গে পাথর, পাহাড় আর পানির দেখা একমাত্র সিলেটেই মিলে। আর এ কারণে বর্ষায় জমে ওঠে সিলেটের পর্যটন। পাশাপাশি এবারের ঈদের ছুটি বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় তা পর্যটকদের বেশি সমাগম হবে বলে আশাবাদী ছিলেন পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা।

ঈদুল আজহার ছুটিতে এবার সিলেটে পর্যটকদের আগমন ঘটলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় টানা বৃষ্টি। সিলেটের চা বাগান, জাফলং, সাদা পাথরের সৌন্দর্য অবলোকনে আসা অর্ধলক্ষাধিক পর্যটকের মধ্যে বৃষ্টির দাপটে ভ্রমণ বাতিল করেন বেশিরভাগই।

সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন, বর্ষায় ফুটে ওঠে সিলেটের পর্যটনের মূল সৌন্দর্য। কিন্তু এবার বর্ষায় ঈদের ছুটি হলেও পর্যটনকেন্দ্রে বাইরের পর্যটকরা যেতে পারেননি। এ ছাড়া ৪০ শতাংশ পর্যটক অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছেন। আর যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যেতে পারেননি। কারণ ঈদের দিন থেকে মূষলধারে বৃষ্টি এবং ধলাই ও পিয়াইন নদীর অতিরিক্ত স্রোতের কারণে পর্যটকরা যাত্রা বাতিল করেন। তারা বাধ্য হয়ে সিলেট নগরীর আশপাশের চা বাগান পরিদর্শন করেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাফলং ও সাদা পাথরে স্থানীয় দর্শনার্থীরা গেলেও বাইরের পর্যটকরা যেতে না পারায় অনেকটা শূন্য ছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মো. সেলিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সৌজন্য : সময়ের আলো

শেয়ার