Bangla24.Net

বাড়ছে নদ-নদীর পানি, সিলেটে বন্যার আশঙ্কা

ঈদের দিন থেকেই অজরধারায় বৃষ্টি ঝরছে সিলেটে। ফলে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে । তবে কোনো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী থেমে থেমে বৃষ্টি চলবে আরও কয়েক দিন। শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। দুই দিনের টানা বর্ষণ ও সীমান্তের ওপাড়ে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। চলাচলের সড়ক ডুবিয়ে হুহু করে ঢলের পানি ডুকছে হাওর ও লোকালয়ে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পরবর্তীকালে ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের অবস্থায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

এদিকে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও উজানে ভারি বর্ষণে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আভাস রয়েছে।

এতে ওই সময়ে এ অঞ্চলে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

শেয়ার