বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা সালমান খান ও আমির খান। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও তাদের কাজের ধরণ ও ভাবনা-চিন্তায় রয়েছে বিরাট পার্থক্য।
বলিউড সুত্রের খবর, সালমানের পেশাগত আচরণ পছন্দ নয় বলেই নাকি তার সঙ্গে কোনো ছবিতে কাজ করতে চান না আমির। কিন্তু ‘লাল সিংহ চড্ডা’ মুক্তির পর আমির ঘোষণা করেন, তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে প্রযোজনার কাজে হাত লাগাবেন।
নতুন ছবির জন্য অভিনেতাও নির্বাচন করেছিলেন আমির। এই ছবির মূল গল্প একজন বাস্কেটবল কোচকে ঘিরে কেন্দ্রীভূত হবে। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের বাস্কেটবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়েই ছবির গল্প।
আমির ভেবেছিলেন বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব সালমানকে দেবেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রের খবর, আমিরের ছবি থেকে বাদ পড়েছেন সালমান। এরপরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
শোনা যায়, যত বড় ছবিরই শুটিং থাকুক না কেন, সালমান তার অভ্যাসবশত সেটে দেরি করে পৌঁছান। এরপর এক শটেই প্রতিটি দৃশ্য চূড়ান্ত করে ফেলেন। সালমান যখন সেটে শুটিং করতে আসেন তখন একই দৃশ্যের জন্য একাধিকবার ‘টেক’ নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বারবার একই জিনিসের জন্য টেক নেওয়া পছন্দ নয় তার।
আমির আবার পেশাগতভাবে সালমানের বিপরীত। আমির নির্দিষ্ট সময়ে সেটে পৌঁছন এবং সব সময় চেনা ছকের বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করতে থাকেন। এমনকি একটি দৃশ্যের জন্য বার বার শুটিং করতেও রাজি থাকেন আমির। অভিনেতার মতে, তিনি যে দৃশ্যে অভিনয় করবেন তা যেন সম্পূর্ণ নিখুঁত হয়। সে কারণেই বলিপাড়ার ‘পারফেকশনিস্ট’ বলা হয় তাকে।
আমির এবং সালমানের পেশাগত আচরণের ব্যবধান আজকের নয়। তা আদতে বহু পুরনো। ১৯৯৪ সালে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতে সালমান এবং আমিরকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায। কানাঘুষো ছিল, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতে সালমানের সঙ্গে শুটিংয়ের পর আমির নাকি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি কখনও সালমানের সঙ্গে সহ-অভিনেতা হিসাবে অভিনয় করবেন না।
পেশার খাতিরে না হোক অন্তত ব্যক্তিগত জীবনে সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন আমির। তবে বন্ধুত্বের এই টান কি মিথ্যা? সালমানকে আসলে কী কারণে ছবি থেকে বার করে দেওয়া হল তা এখনও অস্পষ্ট।
তবে সালমানের পরিবর্তে অন্য অভিনেতাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফেলেছেন আমির। কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেতা ফারহান আখতারকে বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।