এ বছর জেলায় ৮০ হাজার ৬৯২টি পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু পশু মজুদ আছে ৬২ হাজার ৫২টি। ঘাটতি রয়েছে ১৮ হাজার ৬৪০টির।
জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কোরবানির হাট, ঈদ ও চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহিনা আক্তার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. মহসিন, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ সভায় আরও বলেন, হয়তো বাইরের জেলা থেকে এনে ঘাটতি পোষানো যাবে। ঈদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ৭০০ সদস্য মাঠে থাকবে। অন্যদিকে, যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আরও ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৩৪টি পশুর হাট বসবে। এরমধ্যে স্থায়ী ১৯টি ও অস্থায়ী পনেরটি। শহরের বাইরে বাস টার্মিনাল এলাকায় এ বছরও অস্থায়ী কাঁচা চামড়ার বাজার বসবে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, জেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সুষ্ঠুভাবে কোরবানির হাট পরিচালনা করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চামড়া সংরক্ষণ করতেও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। সাতদিনের আগে ঢাকার বাহিরে থেকে চামড়া ঢাকায় নেওয়া যাবে না। লবণ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবসায়ীরা পায় সে ব্যবস্থাও করা হবে।
সভায় চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, ২০২২ সালে তারা লোকসান গুনেছেন। ট্যানারি মালিকদের কাছে তারা কোটি টাকার বেশি পান। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা উপস্থিত ছিলেন।