Bangla24.Net

১ কোটি পরিবার পাবে ওএমএসের চাল

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ডধারীরা আগামী জুলাই থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলাররা তাদের এই চাল সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বর্তমানে এক কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন। ফলে অন্তত এক কোটি পরিবার সারা বছরই এই পাঁচ কেজি করে চাল পাবেন। পাশাপাশি ওএমএস চলতে থাকবে। ওএমএসের ডিজিটাল কার্ড তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান খাদ্য মন্ত্রী।

 

 

বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ এর অগ্রগতি এবং সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির জিনিস যখন দেওয়া হবে, তখন একই প্যাকেটে তাদের এই ৫ কেজি চালও দেওয়া হবে। ওএমএস ডিলাররা তাদের এটি দেবে। অর্থাৎ টিসিবিতে আরেকটি পণ্য হিসেবে এই চাল যুক্ত হয়েছে। এক কোটি পরিবারের যাদের কার্ড আছে, যখনই তারা টিসিবির মাল পাবেন, তখনই তারা এই পাঁচ কেজি চালও পাবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন গরিব মানুষজন এক লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য এবং আরেক লাইনে দাঁড়িয়ে চাল সংগ্রহ করবে কেন? একই লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত ওএমএসের বরাদ্দ থেকে মাসে ৫ কেজি করে চাল টিসিবির বিতরণ কার্যক্রমে হস্তান্তর করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, টিসিবি কার্ডের মত ওএমএস কার্ড চালু করা হবে। বর্তমানে পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সপ্তাহে এক বারের জন্য ওএমএসের পণ্য সংগ্রহ করতে পারছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে এলাকাভিত্তিক মাইকিং করছি। যাদের ওএমএসের পণ্য প্রয়োজন, তারা এনআইডি কার্ড জমা দিচ্ছেন। সেখান থেকে একটি পরিবারের একজনকে বেছে নিয়ে বাকি কার্ড ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এতে করে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ওএমএসের পণ্য সংগ্রহ করার সুযোগ থাকছে না।
ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ওএমএস এর পণ্য সরবরাহ শুরু হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। একজন কার্ডধারী বিধি অনুযায়ী সপ্তাহে ৫ কেজি করে চাল ও ৫ কেজি করে আটা পাবেন। যাদের প্রয়োজন তারাই কেবল পাবেন।
চলমান বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম ‘খুব ভালোভাবে’ এগোচ্ছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ জুন অর্থবছর শেষে ১৪ লাখ টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে মজুদের পরিমাণ ১৯ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম যখন একটু বাড়তির দিকে থাকে, তখন সারা দেশে প্রায় দুই হাজার ৫০০ ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম চালিয়েছি। শুধু বিতরণই না, বাজেটে যা ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরা তার চেয়েও বেশি মানুষের কাছে বিতরণ করেছি। অতিরিক্ত দুই লাখ মেট্রিক টন ওএমএস বিতরণ করেছি। ৫০ লাখ পরিবারকে যে নিয়মিত পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব সহায়তা দেয়ার, তা দিয়েছি। তারা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। আমরা করোনাকালীন পাঁচমাসের জায়গায় আরও একমাস বাড়িয়ে  বিতরণ করেছি। শুধু তা-ই না, করোনার সময় বিশেষ খাদ্যবাবন্ধব কর্মসূচিতে প্রতি জেলায় ১০ টাকা করে কেজি চাল তালিকা ধরে বিতরণ করা হয়েছে। এখন এই সহায়তার এনআইডিভিত্তিক ডিজিটাল কার্ড তৈরি করা হয়েছে।
শেয়ার